, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
না ফেরার দেশে চলে গেলেন ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি (জালাল উদ্দিন ভুইঁয়া রুমি) আর নেই। আজ সকালে প্রবাসের একটি হাহপাতালে তিনি অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। প্রয়াত চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ইউনিয়নের জনগণ একজন নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রতিনিধিকে হারাল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তের ৫৯ বিজিবি দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন কমলনগরে জেএসডি মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত  কসবায়এস আই ফারুক হোসেনের মাদক অভিযানের ২২ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার শিমরাইল অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কসবা উপজেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জের ৪২৪টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজার নবনীতে হাজাঁরো ভক্তবৃন্দের পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ,তিনস্তরের নিরাপত্তা বেস্টনী নবীনগর পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু! এস আই সাসপেন্ড ও গ্রেফতার। কসবায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য দৃশ্য—কুমিল্লা ঈশ্বরপাঠশালা মন্দিরে একই ফ্রেমে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা বাঞ্জারামপুর যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার, নকিবুল হুদা

খুনিরা মহাসুখে, খাচ্ছে, ঘুরছে, সেলফি তুলছে!

  • নাজমুল রনি
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯৩ পড়া হয়েছে

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী বিপদের সম্মুখীন হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন, তার কিছু আত্মীয় ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৫ আগস্টের ঘটনার পর তার কথার সত্যতা ফুটে উঠেছে।

নেতাকর্মীদের দুর্দশা, শেখ পরিবারের নিরাপত্তা
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী মামলা, গ্রেপ্তার ও হামলার শিকার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে বা কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সময়ে সুবিধাভোগী শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরবিচারে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম সরকার পতনের আগে দেশ ছেড়েছেন। একইভাবে শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপসও বিদেশে অবস্থান করছেন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ ভারতে চলে গেছেন। হাসানাতের মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ পরিবারের আরও এক সদস্য, নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) ও তার ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিরাপদ আশ্রয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিরাও
ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান, যিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর আত্মীয়, যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন ও শেখ হাফিজুর রহমান কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।

শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বলয়ে অন্যতম প্রভাবশালী ছিলেন, তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।

দেশের বর্তমান বাস্তবতা
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আরামদায়ক জীবন যাপন করছেন। শেখ হাসিনার বক্তব্যই প্রমাণ করে যে ক্ষমতার পালাবদলের আগেই তারা সতর্ক ছিলেন এবং নিজেদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক স্থানীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আর তারা বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এটাই কি আমাদের পুরস্কার?”

জনপ্রিয়

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি (জালাল উদ্দিন ভুইঁয়া রুমি) আর নেই। আজ সকালে প্রবাসের একটি হাহপাতালে তিনি অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। প্রয়াত চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ইউনিয়নের জনগণ একজন নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রতিনিধিকে হারাল।

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি (জালাল উদ্দিন ভুইঁয়া রুমি) আর নেই। আজ সকালে প্রবাসের একটি হাহপাতালে তিনি অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। প্রয়াত চেয়ারম্যান ভুইঁয়া রুমি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ইউনিয়নের জনগণ একজন নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রতিনিধিকে হারাল।

খুনিরা মহাসুখে, খাচ্ছে, ঘুরছে, সেলফি তুলছে!

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী বিপদের সম্মুখীন হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন, তার কিছু আত্মীয় ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৫ আগস্টের ঘটনার পর তার কথার সত্যতা ফুটে উঠেছে।

নেতাকর্মীদের দুর্দশা, শেখ পরিবারের নিরাপত্তা
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী মামলা, গ্রেপ্তার ও হামলার শিকার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে বা কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সময়ে সুবিধাভোগী শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরবিচারে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম সরকার পতনের আগে দেশ ছেড়েছেন। একইভাবে শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপসও বিদেশে অবস্থান করছেন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ ভারতে চলে গেছেন। হাসানাতের মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ পরিবারের আরও এক সদস্য, নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) ও তার ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিরাপদ আশ্রয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিরাও
ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান, যিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর আত্মীয়, যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন ও শেখ হাফিজুর রহমান কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।

শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বলয়ে অন্যতম প্রভাবশালী ছিলেন, তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।

দেশের বর্তমান বাস্তবতা
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আরামদায়ক জীবন যাপন করছেন। শেখ হাসিনার বক্তব্যই প্রমাণ করে যে ক্ষমতার পালাবদলের আগেই তারা সতর্ক ছিলেন এবং নিজেদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক স্থানীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আর তারা বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এটাই কি আমাদের পুরস্কার?”